Saturday 29 January, 2011

কোলাকথন: Dateline 27th January,2011, মার্সেই বন্দর, ফ্রান্স

Good day, my friend!

আজনবী (আমার ID: নির্মাল্য), তুমি চুপ কেন?কাজের চাপ? তাই হবে বোধহয়। কাজের চাপ? তাই হবে হয়ত। আমি এখন ফ্রান্সের লাভেরা বন্দরে; নামটা অচেনা লাগল? যদি বলি মার্সেই (Marseilles) তাহলে বোধহয় চেনা লাগবে। অনেক ক্লাসিকে মার্সেই-র নামটা পাওয়া যায়। কাল একটু বেরিয়েছিলাম। দক্ষিন ফ্রাম্স, তাই নীল আকাশ, পরিষ্কার আয়নার মতো সমুদ্র। তাপমান '+'-এ, +৫ ডিগ্রী। এখানে আজ যারা এল, বলল মিউনিখে ভীষন বরফপাত হচ্ছে। সেই মিউনিখ, যেখানে ১৯৭২ অলিমপিক চলাকালীন ইজরায়েলি এথলিটদের ওপওর গুলি চলেছিল। মারা যায় কয়েকজন (১১ জন: নির্মাল্য)।

এখানের রাস্তাঘাট যেমন হয়: ঝকঝকে আর শুনশান-নির্জন। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। USA-র Wall Mart-র মত, ফ্রান্সে 'auchan' ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে।সেখানেই গেলাম, জিনিষপত্র অবশ্য সেই একঘেয়ে; সেই french perfume, 1-terrabite portable Hard disk, GPS set, X-box athoba Play Station, Chocolates, Digital camera, WiFi-USB, iPAD, Android...ইত্যাদি। ধ্বসে যাচ্ছে, ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে, রোজ এখানে কোন না কোন worker sector, token strike করছে, তবু ঠাটে-বাটে, ভোগের অজস্র সামগ্রী সাজিয়ে বসে আছে। শান্ত, অবসরপ্রাপ্ত লোকেদের শহর, মুখচুন পলিতকেশ বৃদ্ধবৃদ্ধা, স্রেফ রসদ কিনছে বেঁচে থাকার জন্য, গোটা সপ্তাহের খাবার-দাবার। Mobile phone sector-এ কিছু ভীড় নেই। কিছু চাইনীজ, ফিলিপিনো আর ভারতীয়দের ভীড় আছে Electronics আর perfume sector-এ।।এশিয়, the sleeping giant is turning on the bed. কিছু চকোলেট কিনলাম, খাব বলে।তারপর Mcdonalds-এ ঢুকলাম।আমি বাইরে 'pure veg'. কি খাব? 12 Euro-র আলুভাজা কিনে সাঁটালাম. উঁহু, ফরাসী দেশে একে ফ্রেন্চ-ফ্রাই নয়,Friture...উমম্... কি যেন একটা বলে! তরকারীতে দেওয়া অর্ধচন্দ্র আলু, ওপরটা 'deep fry', ভেতরটা নরম।আমাদের দেশের Mc-এ পাওয়া যায় বোধহয়। কোনদিন try মারিনি, ইচ্ছেই হয়নি।

আমি ক্রমবর্ধমান Indian economy-র অংগ। তাই সম্মানিত অতিথি। Counter-এর "Esmerelda" মিষ্টি হেসে পাঁচ প্যাকেট mayonnaise আর sauce টেবিলে এসে দিয়ে গেল।ভারী মিষ্টি হাসি, বিশ বছর আগে কেন দেখা হল না? ফ্রান্সের সমুদ্র - আর ওর পাখির মত চোখ দারুন খাপ খাচ্ছিল। হাসিটা য়েন অন্ধকারে ৩-ব্যাটারী eveready টর্চের মত উজ্বল। চোখ ফেরানো যায় না! 'ভাল থেক, সুম্দরী'। নিজের chocolate-র দুটো বড় 'বার' ওকে দিয়ে দিলাম। ফোয়ারার মত হাসি আমায় ভিজিয়ে দিল। এক নি:শ্বাসে French-এ অনেককিছু বলে গেল। গলায় উত্তেজনা আর আন্তরিকতা...তবু কিছুই বুঝলাম না। আমি যে আজ সম্রাট আকবর, আমর সভায় প্রত্যেককে নিজের গলার মালা খুলে পরিয়ে দেওয়ার দিন আমার আজ।কুড়ি বছর আগে ওর মত কাউকে দেখলে কি হত? কিছু না। ঘর বাঁধার একটা উন্মাদনা থাকা দরকার, ঘর ছাড়ার মতই - 'Wanderlust'-র মত 'Bonding-lust' - আমার মধ্যে তার বড় অভাব। তাই ঘরে থাকাই হয় না। 'OK,বনলতা সেন, এখন আমি যাই'। আমার ঘরের মাদমোয়াসেল সেনগুপ্ত-টা এখন কি করছে কা জানে? হয়তো ছেলে পড়াচ্ছে; নয়ত Facebook-এ স্কুলের বন্ধুদের ছোটবেলার photo দেখছে, অথবা যা ইচ্ছে তাই করছে।

ভয়ানক রাগ হচ্ছে; শালা গানগুলো কেন পছন্দমত sequence-এ আসছে না! দেখি, নির্মাল্য আর কি বলে!

কোলা

Wednesday 26 January, 2011

হিজিবিজি ২৬।০১।২০১১






Enclosed please find herewith…বা Please refer to letter dated আমার লেখা মানেত এইরকম

এতদিনে মুফতে একটা জায়গা পাওয়া গেছেআমি হিজিবিজি কাটবো,হাবিজাবি লিখবো,যাচ্ছেতাই বলবো পাঁচ-সাতজন পাঠকত পেয়েই যাবো

আমারঠাকুমা গত হয়েছিলেন, তখন আমার পাঁচ বছর বয়েস হবেপাঁচভাই দুইবোনের,আমিই সবার ছোটতবে আমার বেশ মনে পড়ে, খুব ছোটখাঠো চেহারা ছিল ঠাকুমার কোমর থেকে সামনের দিকে অনেকটা ঝুকে চলাফেরা করতো,তাই আরো ছোটখাঠো লাগতোবিধবা, স্বপাকাহারী মানুষসর্বক্ষণ এই ছুঁয়ো না’,ওই ছোঁয়া লেগেগেল গেল ভাব তবে দুপুরবেলায় ঘুম থেকে উঠে ঠাকুমারপাতের ভাত’(মানে ঠাকুমার lunchএর বাকি ভাত তরকারি-এখন বুঝি, ইচ্ছা করেই বেশী বানাতো) আর রাতে গরম দুধে-ভেজানো জনতা ষ্টোভে করা রুটি আহা! সেই অমৃতের স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে আমরা তীর্থের কাকের মত বসে থাকতামতবে,ঠাকুমার লাইনের কোনোদিন গণ্ডগোল না কার, কোন বার লাইন আসবেআইজ বিষ্ষুদবার,ছুটকইন খাইব

আমার বাবারা চারভাই,ঠাকুমা তাঁর চার ছেলের কাছেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে থাকতেন বৃদ্ধ বয়েস, ওষুধপত্র লেগেই থাকত বাবা ডাক্তার ছিলেন,সেজন্য ঠাকুমা আমাদের বাড়িতে বেশী থাকতেন ঠাকুমা মানে সাদা কালো সরু পাড়ে ধুতি,হাটুর কিছুটা নীচ থেকে ন্যাড়াসম মাথা পর্যন্ত আলগাভাবে জড়ানো চৌকো একটা কোরা কাপড়ের কর্ণের দিকের কোণার খুঁটগুলো বেধেঁ একটা পুটুলি, তারমধ্যে রুদ্রাক্ষের মালা ,ডানহাতে বুকের কাছে ধরে, জপে যাচ্ছে,দিবারাত্র বা অহর্নিশ অবিরত জপও চলছে,’হরে রাম,হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে সঙ্গে চলছে বকাঝকা, খ্যাচ্ খ্যাচ বেশীরভাগ সময়ই ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়ে,মাঝেমধ্যে আমাদের পড়া নিয়ে এই খ্যাঁচ খ্যাঁচ এর মধ্যে যত না বিরক্তি ছিল, অনেক বেশী ছিল প্রশ্রয়-এখন বুঝি

অনেকদিন পর আমার ঠাকুমার কথা মনে এল, দূরথেকে দেখি এক ঠাকুরমা-সমা আসছেনঠিক ওইভাবে সামনে বেশ খানিকটা ঝুকে,ডান হাতটা ঠিক সেইভাবেই বুকের সামনে ধরা পুঁটুলি ঠাওর পেলাম যখন দেখলাম,পুঁটুলির রঙ কালোএই ঠাকুরমা- শাড়িটা অনেক বেশী ধবধবে সাদা উনি আমার দিকে আসছেন,আমিও উনার দিকে যত কাছাকাছি আসছি, আরও দ্রুতপরিবর্তনদেখছি আরও খানিকটা কাছে হয়ে নজরে এলো, ঠাকুরমার পরণে মেখেলা-চাদর,মুখেও যেন কি জপ করছে ঠিক যখন আমি ঠাকুরমা cross করছি আর উনি আমাকে এক বিশাল পরিবর্তনের ঢেউ আমার ওপর আছড়ে পড়লো ঠাকুরমার ওই নকশিকাটা কালো পুঁটুলি থেকে ভেসে এলো, জগজিৎ সিং গলায়,”হে রাম,হে রাম



Sunday 23 January, 2011

হিজিবিজি ২৩।০১।২০১১



আঁখো দেখা হাল

ছোট্টবেলায় বন্ধু ছিল,মিঠু (পরেপাকা মিঠুনামে পরিচিত) প্যাংকা বাবু (বাবু- আগে কবে,কিভাবেপ্যাংকাযোগ হয়েছে জানি না),ওদের সাথে এখনও যোগাযোগ আছে, কিন্তু সেই বাঁধনটা যেন কোথায় নিরুদ্দেশে গেছে সে বয়সে Schoolএ খুব বন্ধু ছিল দেবব্রত বিশ্বাস,সুশান্ত হালদার, প্রদীপ কাটোয়া, এরা সব কে কোথায় গেছে!

এরপর খুব বন্ধু , কালু (তুষার সরকার), ওদের বাড়িতে অনেক ঘর,একটা ছোট্ট ঘর খুব প্রিয় ছিল আমাদের ৷ এই ঘরে বসে আমরা Projector, Wall clockএর Spring, Cycleএর Bellএর বাটি দিয়ে Calling Bell(এর designটা আমার বাবার করা ছিল), ছুচোঁবাজি বানানো কতকিছুই না করতাম, কখনও লুকিয়ে কখনওবা জানিয়ে ৷

তখন ক্লাস সিক্স সেভেন হবে, বন্ধু হল,প্রসীদ শ্যাম,চয়ন গায়েন। প্রসীদের মত প্রতিভাবান পড়ুয়া আর একটাও পাইনি। তবে ওদের বাড়িতে ও পাড়ায়,আমার একটা গর্ব করার মতো পরিচয় ছিল ‘অঙ্কে ভালো গৌতম’। পরে অমিতাভ ঘোষ,অরুণপ্রকাশ ও খুব বন্ধু হয়ে উঠলো। এরা যে যখন বন্ধু ছিল,তখন মনে হত, ওদের ছাড়া দিন যাবে কি করে!

১৯৮১সাল কয়েকটা বন্ধু পেলাম ৷ রসায়ন(সাম্মানিক) নিয়ে পড়া শুরু করলাম। বন্ধু হ’ল, নির্মাল্য,সুজয়,শান্তনু,মানস,অমিত,অমরজ্যোতি,সঞ্জীব আরো কয়েকজন ৷ গত তিরিশ বছর যাবত এই বন্ধুত্ব প্রায় একইভাবে চলছে। আমরা সব একইভাবে শুরু করেছিলাম।পরে সবাই ভিন্ন ভিন্ন professionএ চলে গেল। নির্ম্মাল্য computer নিয়ে কি জানি করে,প্রতিষ্ঠা,নাম দুটোই নিজের চেষ্টায় ও মেহনত্ এ পেয়েছে। ওর লেখা ও কথা যেন মাখনের মধ্যে ছুরি চালানো, ভীষণ Understanding ও Proactive।সুজয়,সবাইকে নিয়ে,মানিয়ে চলার অস্বাভাবিক ক্ষমতা। Officer হওয়া থেকে আমরা ‘সেনসাহেব’ ছাড়া সম্বোধন করি না।তবে জানিনা, কতগুলো চাকরী ও বা ওর govt. create করেছে।শান্তনু,আমার মনে হয় ও-ই শুধু রসায়ন পড়াটাকে চাকরী জীবনে কিছুটা কাজে লাগিয়েছে। এখন এক Brightner Companyতে Eastern Region এর এক নম্বর। আমাদের classmate সুস্মিতাকে বিয়ে করেছে। জীবনে একটাই প্রেম,একটাই চাকরী,যাকে প্রেম,তাকেই বিয়ে। একটাই পড়াশুনা,নাচেগানে খাসা,যাদবপুরে ইঞ্জিনীয়ারিং করা মেয়ে। মানস,অমরজ্যোতি,সঞ্জীব এরা সবাই নিজের জায়গায় ভীষণ, ভীষণভাবে প্রতিষ্ঠিত।মাফ করবেন,আমি আদার ব্যাপারী,তবুও জাহাজের খবর রাখতে হয়,কারণ,অমিত জাহাজের প্রধান নাবিক।এই অমিতের জীবনীশক্তি হিংসে করার মতো।তবে এই অমিতকে নিয়ে, সেই কবে থেকে, আমার একটা সমস্যা আছে। ও এক পৃষ্ঠা english লিখলে আমি কমপক্ষে বিশটা wordএর মানে বুঝিনা,সে’ত গেল। কিন্তু ও এক পৃষ্ঠা লিখলেও কম করে দশটা শব্দের মানে বুঝি না।তবে পৃথিবীর প্রত্যন্ত কোণায় বা পারাপাড়হীন মহাসাগরে বসে আমার কথা যখন ভাবে বা লেখে, আমার বেশ গর্ববোধ হয়। অমিত-রা কেন যে, খ্যাতি পায় না!

আমরা সবাই অজন্তা হল-এর কাছে ‘শনি,রবি ও ছুটিরদিন’ বসতাম। বৃহস্পতিদা ছিল আমাদের চা supplier, কবে যেন এই আড্ডাস্থলের নাম হয়ে গেল, ‘বৃহস্পতিদা’র ঠেক’।

কেউ কোনো ‘সম্মান’ পেল বা ‘হ্যাটা’হয়ে এল,কেউবা ‘কেতা’ দেখিয়ে এল,কাউকে ‘চেটে’দিল, কেউ ‘চাপ’ এ রইল,কেউ ‘ফস্টিনষ্টি’বা ‘ঘাঁটুঘাঁটু’ করে এল,বা ‘গলাধাক্কা’খেয়ে এল, কেউ ‘ঢপ ও ভোঁত’দিয়ে বা খেয়ে এল,কেউ ‘সেবন’ করে ‘বমন’করল, কেউ মৈথুন করে এল,কেউ virginity খুঁইয়ে এল।এখানে এসে confess করতে একচিলতেও অসুবিধা, সেই তিরিশবছর আগে থেকে আজ পর্য্যন্ত হয়নি। এই বন্ধুত্ব নিয়ে compromise করতে নারাজ। এই বন্ধুত্বটা যাতে আলগা হয়ে না যায়, সেইজন্য নতুন করে আর কাউকেই বন্ধু বানাতে বা বলতে মন চায় না

***সেদিন Bankএ গিয়েছিলাম ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করতে ৷ আমি এক মহিলা officer এর সামনে বসে। কোন schemeএ রাখলে টাকা সবথেকে বেশী আখের গোছানো যাবে, আমি যখন বুঝতে চেষ্টা করছি,আর মনে মনে ছক কষছি। ঠিক সেই সময়ে feel করলাম, ওই officerএর মন এই অমুল্য,বিশ্বস্ত investor এ নেই। আমার মনে একটু বিরক্তি এল ৷ ঘাড় ঘুড়িয়ে পিছনে দেখলাম, এক বয়ঃবৃদ্ধ অশতিপর ঋজুভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ৷ চোখে মোটা lensএর ভারী চশমা ৷ গৌহাটীর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে আপাদমস্তক দামী সেকেলে গরম কোট, জামাকাপড়ে জড়ানো, মাথা গলা মাফলার(আমার বাবা বলতেন comforter) ও টুপিতে ঢাকা ৷ এক অদ্ভূত, এ-জগতের প্রতি কোনোরকম অভিযোগ না থাকা,ভবিতব্য জানা, সরল,স্মিতহাসি জড়ানো মুখ ৷ যে হাসির কোনো শুরু নেই,বিরতি নেই,শেষও নেই ৷ আমার সামনের মহিলা officer almost উঠে দাড়িয়ে ওনাকে বললেন , “আহক বহক”৷ খুব ক্ষীণস্বরে ভদ্রলোক যেন কিছু বললেন উত্তরে ৷ officer অহমীয়াতে বললেন, “বাঃ! আপনাকে চিনতে পারবো না? তা এতদিন কোথায় ছিলেন? আপনি তো আমাদের এই তিরিশ বছরের পুরনো Branchএর ‘এক’ নম্বর Pension Account Holder। চলুন নতুন BM এর সাথে দেখা করিয়ে দিই”। বৃদ্ধভদ্রলোক খুব ক্ষীণ আওয়াজে আকাশের দিকে তর্জনী দেখিয়ে যা বললেন, “আমি ‘দুই’ নম্বর, আমার বন্ধু ‘এক নম্বর’তো চলে গেছেন”।

Monday 17 January, 2011

আমার রায় ১৬ই জানুয়ারি ২০১১

We, on behalf of our Thekothonponjee, are deeply mourned at the sudden demise of Moitree's sister so prematurely.

We all pray for her soul that may rest in peace.

Stay beside Moitree in her hard days. Think of our Gurudev who suffered many a time loss of priojons in his life and how he turned back to his normal life.

Tuesday 4 January, 2011

আমার রায়
৪ঠা জানুয়ারি ২০১১


গতকাল চলে গেলেন প্রাবাদপ্রতিম শিল্পী সুচিত্রা মিত্র । আবার এক প্রতিস্টানএর মৃত্যু হল । আমার জীবদ্দশায় সাক্ষী হলাম আরো এমন একটি শুন্যতার। দেব্ব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সত্যজিত রায়, উত্তমকুমার, ইন্দিরা গান্ধী যারা সকলেই ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে এক একটি আস্ত প্রতিস্টান।

পড়ে যারা রইলেন কোথায় তাদের সেই ধী শক্তি ? এমন শুন্যতায় আজ মনটা বড্ড খারাপ লাগছে রে!

Monday 3 January, 2011

ভট্টবচন :৩রা জানু ২০১১ গুয়াহাটী



আমি থাকি, হেমলতা হেরিটেজ-A তে ৫তলাতে ৷ আামার প্রায় গায়ে লেগে উঠেছে, B-ব্লক ৷ সেটার ৪তলাতে থাকেন, এক ভদ্রমহিলা , শুনেছি উনি Cotton College( গৌহাটী-র Presidency)-র প্রফেসর ৷ এক মেয়ে বছর ১২বয়স, গড়নটা মায়ের মতোই ৷ সম্ভবতঃ স্বামী Bank চাকুরে, আসামে অন্য কোনো শহরে posted ৷ আমার রান্নাঘর বা Balcony থেকে , ওনার সূ্র্যের আলো না ঢোকা রান্নাঘর বা Study তে মা বা মেয়ে থাকলে, চিনতে অসুবিধা হয় (অনেকটা ঠিক SS-র ওমা! আপনি এখানে-র মতো ৷)৷৷

এনারা (মা ও মেয়ে) রোজ সকালে, পায়রা (৫০টা তো হবেই) খাওয়ান ৷ Kitchen ও Study-র জানালা দিয়ে, কার্ণিশের ওপর ছুড়ে দেন, মুসুরডাল, চিড়ে,চাল এই মাগ্যিগণ্ডার দিনে

আমিও রোজ নজর রাখি, এই পায়রাগুলোর behavior, সঙ্গে অবশ্যই ভদ্রমহিলার দৈহিকভাষা ৷ পায়রাগুলোর behavoiur এর সাথে মানুষের চরিত্রের অবিকল মিল ৷ দু-চারটে রঙবাজ ৷ এরা খালি ঘুরেঘুরে তরপে যাবে ৷ নিজেও খাবে না,কাউকে খেতেও দেবো না ৷ কেউ কেউ সুন্দরী পায়রা দেখলেই হ’ল, খাওয়া ছেড়ে সটান প্রেম করতে লেগে গেল ৷ এই সুযোগে, সুন্দরী ও একটু লেজে খেলিয়ে নিল ৷ আর পছন্দ হলো’ত, ব্যস্, চুম্বন দিয়ে শুরু,নিজেদেরকে নিংড়ে সবকিছু দিয়ে শেষ ৷ এরপর সপ্তাহ ৫ বাদে আমার দুই Balcony-র কার্ণিশে চি৺চি৺ শব্দ ৷

তবে এরা কিন্তু কেউ কালকের জন্য খাওয়া মজুত করে না ৷ আজ চি৺ চি৺ করা বাচ্চাটার ভবিষ্যত ভেবে flat বা Bank deposit করে না ৷ এখনও শোনা যায় নি, পায়রা প্রজাতি র গড় আয়ু কমে গেছে ৷ বা average health condition এর অবনতি হয়েছে ৷

Sunday 2 January, 2011

আমার বাংলা লেখা শুরু হ'ল৷ নিরমাল্য গুরু ঠিক হচছে ৷ কিনা ব'ল?

কোলাকথন, dateline 30th Dec,2010, আফ্রিকার উপকূলে কোথাও

Hello Paranbandhus
Wish you all a very very happy new year!
তোমরা যে যার হলিডে মুডে এসে গেছ। সুজয়, নির্মাল্য, দুজনেরই বোন আসছে, শুরুটা মিলেমিশে ভালো কাটুক। গৌতমের বড়দিকে আমার এখনও মনে পড়ে, তার অসময়ে চলে যাওয়াটাও। জীবনের এরকম বেহিসেবি নিয়মের কারণ জানা নেই।শান্তনু আর সুজয়কে মেল পাঠাবার জন্য ধন্যবাদ। নির্মাল্য, বছরের তারিখগুলো পাঠালি না; ঋর পাঠাবি না ধরে নিয়েই তবুও বলি ধন্যবাদ, এখনও অবধি যা পাঠিয়েছিস তার জন্য। সন্জীব PPF-র কথাটা তুললি কি আর? মানস আর অমরজ্যোতি কি করছিস এঐ শীতে? এবার ক্ষমা চেয়ে নিই নিচের অসম্ভব বড় মেলটার জন্য (নোট: দু-তিনটে পোষ্টে ভেংগে blog করব - নির্মাল্য)। READ AT YOUR LEISURE.
29-Dec-2010
উফ্! দিন কাটছে বটে আমার।

স্বর্ণালী বেলাতাতে সবুজ অরণ্য আর শান্ত নীল সমুদ্রের ঘেরাটোপে কখনও কি অপূর্ব ছবি! মুগ্দ দৃষ্টিতে চেযে থাকতে মন চায। রাত পোহালেই তারারা চোখ বোজে। ঘুমের পরীরা ডানা মেলে উড়ে যায় কোন সুদূরে। ফুলের মত সকাল আবার ঘরে ফেরে মাতাল বাতাসের হাত ধরে। শান্ত সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ, সুর্য্যটার মুখে হাত দেবে বলে দুহাত তুলে বায়না ধরে। তাদের গালে চুমু খেয়ে সকাল পাড়ি দেয় বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি-র দিকে। Binocular-এ চোখ রাখলে দেখা যায় নির্জন বেলাতাত নগ্ন দেহে অর্ধশায়িত কলেবরে পরনের আলুথালু বস্ত্রটুকু খুলে হেলায় লুটিয়ে দিয়েছে সাগরজলে। সাগর তবু দার্শনিক; চন্চলা স্ত্রীর পরপুরুষের প্রতি অসংগত যৌবনলাস্যকে ঋষিতুল্য পতির সম্ভ্রান্ত শিষ্টাচারের উপেক্ষা করার উদারতা নিয়ে - নিজের খেয়ালেই মগ্ন।আলতো হাতের ছোয়ায় এখন শুধু নিবৃত্ত করার চেষ্টা। এ ভাবেই চলবে। আর রাতের অন্ধকারে ঋবার সবার অগোবে জোয়ার। তখন অন্য রূপ! তুমুল আস্ফালন আর নিবিড় আলিংগনে ওই অভব্যতার শোধ তুলবে - ভালবাসবে - অদম্য বাসনায় অত্যাচারে ফালাফালা করে। এঐ খেলাটা আমি জানি।অনেকে বলে আমি স্বাভাবিক নই। কিন্তু আমি এগুলো চাক্ষুয দেখতে পাই।

বয়:সন্ধির ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা আন্মনা শিশুর মত গুটি কয়েক নৌকা হেলেদুলে সাগরলে ভেসে চলে যায়। যুবতী প্রকৃতির আহ্বান তাদের নিষ্পাপ মনে ধরা দেয় না। আমায় কিন্তু হাতছানি দিয়ে ডাকে। কি অপার্থিব এক প্রেমের কবিতা লুকিয়ে আছে এই দৃশ্যতে। যেমন থকে অজানা রাস্তায অচেনা অন্ধকারের ঘেরাটোপে হঠাত্ দেখতে পাওয়া একটা লন্ঠনের আলোয়।মনের অন্ধকারে কত হাজার মশাল জ্বালিয়ে যাওয়া ওই একটা টিমটিমে মেঠো আলো। আমি শুধু ওই কবিতা পড়ে যাই কিন্তু সেইভাবে আবৃত্তি করতে পারি না।

কথা উঠেছিল রাতের অন্ধকারের। রাত আসে এক অদ্ভুত রোমান্চ নিয়ে।আকাশের দেউলে চাঁদতারার প্রদীপ একটা একটা করে জ্বালিয়ে, বাতাসের কন্ঠে গান গাইতে গাই, সমুদ্রের জল ভেংগে ছলাত্ ছলাত্ করে। কিন্তু এই রোমান্চ বেশীক্ষন স্থায়ী হয় না। চরাচর জুড়ে এক আতংকের ঘোর, কোন সে অজানা অশনি স:কেত যেন। আফ্রিকার উষ্ন রাতের থমথমে আকাশে বইতে থাকে এক অজানা আতংকের হিমেল স্রোত। সেই আফ্রিকা - যার শ্বাপদসংকুল গহন অরণ্যে 'সিম্বা'র ভয়ে যে ভাবে দিনরাত কাটত মাসাকুলির দল! আমার রাত ও কাটে সেই ভাবেই। কখন কি বাওবাব গাছের গন ঘেরাটোপের আড়াল থেকে বিদ্যুতের মতন অতর্কিত আক্রমণে অনায়াসে শিকার তুলে নিয়ে যাবে যমদূত সিম্বা! অথবা আরো ভয়ানক সেই চাঁদের পাহাড়ের বুনিপ! অন্ধকার আফ্রিকার আদিম হিংসা কোন অজানা রিপুর মত জংগক পেরিয়ে কবে থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, কারো জানা নেই।
(প্রথম পর্ব সমাপ্ত: নির্মাল্য)




Pobitora Abhoyaronya






Guwahati theke 40Kms dure ei sanctuary. Ei sanctuary-r Ranger Mr. Tamuly kichhu din (1-mas-er modhye) President of India-r award peyechhen. Karon, last 4yrs e india-r ekmatro ei sanctuary te ektao poaching hoyni.

Aaj sunday(2.1.11) hothat-e , meyer nacher school-er bondhu o tat Maa, Baba, Dada r amra milay bolero ta niye beriye porlam . Saradin katiye ei bikel 5-00ta nagad phirlam... Amader barso(2011)-baron...