Saturday 16 July, 2011

একটা খুব ভাললাগা গান

কয়েকদিন আগে, নরেনদ্রপুরের এক বন্ধু - আমাদের চেয়ে একবছরের জুনিয়র, Ireland-এ ডাক্তার - একটা গানের লিংক পাঠিয়েছিল, Facebook-এ।। হালফিলের বাংলা গান সম্বন্ধে আমার খুব একটা ভাল ধারণা নেই। তাই কিছুটা কিনতু-কিনতু করেই শোনা শুরু করেছিলাম। তারপর, ভীষন ভাল লেগে গেল।গুনগুন করে গাইছি,মনের মধ্যে জায়গা করে দিচ্ছি; আনেকটা যেমন বাড়ীতে কোন প্রিয়জন হঠাত্ করে চলে এলে, ব্যস্তসমস্ত হয়ে অগোছাল বসার ঘরের জিনিষগুলোকে ঠিকঠাক করতে করতে বলি, 'আসুন, বসুন!'

গানটা শুনতে ইচ্ছে করছে, কোন নিস্তব্ধ দুপুরে, শেষ হয় না এমন হাইওয়ে ধরে drive করতে করতে, মনটাকে ফেলে আসা দিনের কিছু বিশেষ ঘটনার দিকে ছড়িয়ে দিয়ে; এটা জেনেই যে অবধারিতভাবেই কিছু স্মৃতিতে ভারাতুর হয়ে যাবে মনটা। তাতেই যেন গানটার মাধুর্য।

লিংকটা দিলাম। তোরা কেউ গানটার লেখক, সুরকার ও গায়ক সম্বন্ধে কিছু জানলে, share করিস।

http://www.youtube.com/watch?v=GrCXwJTpGgo&feature=related

Wednesday 13 April, 2011

বড় মানুষের জন্মদিন ৯ই এপ্রিল

্পায়েস ছেড়ে কেক তাড়িয়ে কক টেইলে বসেছি । পটলের প্রাইড, ব্লেন্ডারস্‌ মাইট্‌ বনবনবন ঘুরছি । আজ চাঁদ উঠেছে ডবল করে, নাকি আমি নেশার ঘোরে - ডবল মুন প্রবল গুন লেজের ডগায় নাচছি ।......... এমন বন্ধু আর কে আছে তোমার মতো মিস্টার - মুনমুনের দীরঘাইয়ু কামনা করে বন্ধু মানসকে ধন্যবাদ লেজে খালানোর জন্য (এই দিনে মনে রাখার জন্য )

Thursday 7 April, 2011

শুদ্ধবাংলা




বন্ধুবরেষু,

অকস্মাৎ আমার মুক্তি পিছাইয়া গিয়াছে।অতএব কেউ যদি মনে করো বিশ্বকাপ জয় অথবা অন্য যে কোনো কিছু নিয়ে দু’কথা বলবে,তা’হলে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।

কোলা

৬/৪/১১

অকস্মাৎ এইরূপ হইবার কারণ জানাইলে কিঞ্চিৎ নিশ্চিন্ত হইতাম। শঙ্কা হয়,আপনি জলচর-এ রূপান্তরিত হইয়া না যান। কোনোদিন দেখিব আমাদিগের অমিত-এর অগ্রপদযুগল মীন-এর ন্যায় পাখনা(fin)য় রূপান্তরিত হইয়াছে।

গৌতম ভট্টাচার্য্য

৬/৪/১১

সে কিরে! এবার মে মাসে তুই গৌড় পাণ্ডুয়া নিয়ে যাবি ভেবেছিলাম… দেরী কেন? নামবি কবে?

সুজয়

৭/৪/১১

আমার গাঢ়টি মারিয়াছে! এইরূপ শুদ্ধবাংলায় আলাপচারিতায় যথেষ্ঠ শঙ্কিত ও দ্বিধাগ্রস্থ হইয়া পরিয়াছি।মাতৃভাষা যতদিন দুগ্ধ ছিল,নিরুপদ্রবে পান করিয়াছি। অদ্য দেখি উহা ক্ষীরে রূপান্তরিত এবং পৈতিক গণ্ডগোলের অন্যতম কারণ হয়,আমার দূর্বল অন্ত্র তাহা সামলাইতে পারে না।

তাই,আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, জাহাজী সেন এবং কেতাবী ভট্টাচার্য্যি মহাশয়দ্বয় যদি সাদা বাংলায় অর্থাৎ ‘মা-মাটি-মানুষ’এর ভাষায় ফিরিয়া আসেন,অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকিব।

নিবেদন ইতি

নির্মাল্য

৭/৪/১১

Saturday 2 April, 2011

সন্জীবের কেরামতি




আমাদের অন্যতম 'ঠেকি', BOC-র উচ্চপদস্থ আধিকারিক, গুড়াপ-নন্দন, 'মুড়িধন' (এই sobriquet-টা কোলার দেওয়া) সন্জীব মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর কর্মস্থলে অসামান্য অবদানের জন্য প্রশংসিত ও সম্নানিত হয়েছেন।বলা বাহূল্য, আমরা অন্য ঠেকিরা সন্জীবের এই সাফল্যের খবরে খুব খুশী।

সন্জীবের পাঠানো project synopsis প'ড়ে যা বুঝলাম, তা এইরকম:

দেরাদুনের (উত্তরান্চল) কাছে সেলাকি বলে জায়গায় BOC একটি 'বায়ু পৃথকীকরন' (Air Separation) Plant (capacity: 221 TPD) বানিয়েছে। সরকারী দফতরের গড়িমসির কারনে কাজ শুরু হয় দেরীতে। কাজ চলাকালীনও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় BOC team-কে। শেষত:, plant-টি commissioned হয় ২০১০ সালের জুন মাসে, নির্ধারিত সময়ের আগেই, budget-r ১৮% কম খরচে।সন্জীব এঐ project-r একজন Team Leader হিসেবে কাজ করেছে। কর্তৃপক্ষ ওর কাজের তারিফ করেছেন এবং সেই সুবাদেই সন্জীব 'Best Project Team Leader' মনৌনীত হয়েছে।



আগামী ১১ই মে,২০১১, সিংগাপুর-এ (বা মালয়েশিয়া বা চীন-ও হতে পারে, এখনও ঠিক হয় নি) 'Best Aian Project' প্রতিযোগিতায় সন্জীবের project সামিল। আমরা আশা রাখি, সন্জীবকে ওখানেও সম্নানিত করা হবে।

Tuesday 1 March, 2011

অমিতের লেখা ১লা মার্চ ২০১১



আরে না না,আমি জানার কৌতুহলবশতঃ: এমনি জানতে চাইলাম। আমার লেখা আবার ছাপবার জায়গায় গেল কোথায়? হয়তো একদিন যাবে,সেদিন তোকেই বলবো।আর না হলে আমরাই আমাদের মনেরপাতায় অনুভূতির যে আঁকিবুকি কেটে গেলাম(এই Blog-র দৌলতে)সেই রঙেই রঙীন থেকে যাবো।সময় হলে একজন একজন করে আকাশে উড়ে যাবো,ছেলে মেয়েদের হাত ফস্কানো গ্যাসবেলুনের মতো।কষ্ট একটু হবে!সুতো ছিঁড়লে কার না কষ্ট হয়।

ওখানে মেঘের দেশে ঠিক আবার দেখা হবে,তাই না বল? সেই দেশে যেখানে শুধু গাছে গাছে রূপোর ডালে সোনার পাতা, মণিমুক্তোর ফুল আর হীরের ফলই দোলে না,যেখানে খোলা প্রাণের গলা জড়িয়ে অতীত থাকে শুয়ে।লাইব্রেরী থেকে বই টেনে বের করার মতো এক-একটা পুরানো দিন টেনে বের করা যায়।যেখানে মাঠে খেলতে নামার আগে পুরনো জার্সি পরিয়ে দেওয়ার মতো পুরনো দস্যিপনা আবার অঙ্গে লেপ্টে দেয়,উন্মুক্তো বাতাস….যেখানে ব্যস্ত সময়ও আলসেমিতে থমকে দাড়ায় মেঘের জলে নাইবে বলে।

ওখানেই ঋত্বিক সত্যজিৎ-এর ছবি চলে,চাঁদ সূর্যের আলোয় সেট তৈরী হয়।ছবি বিশ্বাস আসে,কমল মিত্র আসে।খোলামাঠে মাইকে লোক ডেকে ডেকে সেসব ছবি দেখানো হয়।দেখার চাইতে, দেখতে যাওয়ার উত্তেজনা বড্ড বেশী।উত্তমকুমার অভিনয়ের টানে কুয়াশাকে কাঁদায়…ঝমঝম করে বৃস্টি নামে।ওখানেই কাশ্মীর,ওখানেই শিলং,ওখানেই ডাললেক,ওখানেই গড়েরমাঠ,ওখানেই শঙ্খচিলের সাথে Wind-surfing।ওখানেই বাবলুদের বাড়ির তিনতলা থেকে ওড়ানো লাটখাওয়া ঘুড়ির সাথে Para-gliding।ফুচকাওয়ালা টিং টিং ঘণ্টায় সন্ধ্যা নামে।তারপর ট্রামে চড়ে তারা আসে ঝিকমিক চশমা চোখে পড়ে।পূজোয় নুতন জুতো কিনে বাটার দোকান থেকে বিনিপয়সায় পাওয়া।

ওখানেই স্বাতী,ওখানেই নন্দিনী,ওখানেই মধূমিতা,ঈশিতা,নীতা…আবার তৃষ্ণা অথবা জয়িতা…সকলেই এখন অভ্র-দ্বিতা (মেঘের মেয়ে)।ওদের কারোর স্বপ্নপূরণ হয়েছে,কারো কারোর হয়নি।ওদের পুঁজি(asset)বলতে হাসিখুশি মলাটের ছবি,আদর্শলিপি-র বিদ্যাসাগরের হাসি অথবা বৃত্তিপরীক্ষা-র পুরনো প্রশ্নমালার ভিতর ঠাকুরমার গায়ের গন্ধ।শাড়ীগহনা কি আর শরীর ভেদ করে মনে ঢুকতে পারে?আবার সংসারের গ্লানিও কি এইদেশের বৃষ্টিতে লেগে থাকতে পারে?সব ধুয়ে মুছে যায়।এখানে আমার স্ত্রী নির্দ্বিধায় আমার হাত ছেড়ে ওদের সাথে গিয়ে বসে…কোনো উষ্মা নেই,বিভেদ নেই। আবার নিশ্চিন্তে যেকোনো লোকের হাত ধরে যেকোনো রাস্তায় কানামাছি খেলতে চলে যায়। কোনো গণিতের হিসেব নেই,ভালমন্দ বিচার অবিচার নেই…এখানে সকলেই বন্ধু।শম্ভুদার সিড়িরঘরে হাঁসের ডিম ফুটে,পাখির জায়গায় কোমল সূর্য বেড়িয়ে আসে। Tele-tubbiesএর সূর্য খিলখিলিয়ে হাসে আমার মনে-সব অমূলক দুশ্চিন্তা…আলোর ঝর্ণায় কাঁচ হয়ে খান খান হয়ে যায়।

সেই দেশ বন্ধু…মেঘের দেশ…মনের দেশ…লিপ্সায় উন্মত্ত ডাকাতের দল,আরো কি করবে আমার mai-er(বুঝতে পারিনি)বুক থেকে করুক।কই আমার মন থেকে কবিতা মোছাতে পারবে কি?

আজও আছে গোপন…ফেরারী মন

বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন।

ভাল থাকিস, ইচ্ছে হলে সবাইকে পড়াস,মনের দেশে সবার berth রিজার্ভ করে রেখেছি।

আমার সংযোজন: লেখা Publishকরতে হলে,কি করতে হয়? অমিত আমাকে শুধিয়ে ছিল। Reply দিয়েছিলেম। সঙ্গে জুড়ে ছিলেম। তোর লেখা ছাপাতে চাইছিস কি? তার উত্তরে অমিতের এই লেখা।মনে মনে চাইছিলাম আমার এই সম্পদ কারোর সাথে shareকরবো না। শীতের রোদে পিঠ দিয়ে একলা বসে রসিয়ে রসিয়ে চেটেপুটে খাব।তবে ঠেকের অলিখিতবিধি আর অমিতের শেষ দুটো লাইন অমান্য করতে পারলাম না।

Friday 4 February, 2011

Technology, হয়ত আর চার-পাঁচ বছর পরেই

ভাবলাম, তোদের সবার সাথে এটা share করি। Video-টা দেখ, ভাল করে। সবচেয়ে ইনটারেসটিং হচ্ছে ডিজিটাল device-র ওপর হাত নাড়িয়ে দেওয়া। মনে রাখিস, ওটা একটা security measure; তোর হাতের fingerprinting যাচাই করে, তবেই ওই ডিজিটাল device তোকে ব্যবহার করতে দেবে।

http://www.youtube.com/watch?v=oQHukjxQL14

বাড়ির অন্যদের সাথে share করিস।